অলোক বসু বাপী
একন খাঁজুরির গুড়পাটালি,দেশি কুহুড়ো,
পাতি হাঁস আর খাঁটি সইরষের ত্যাল
,এ যে মোটের পর যুগাড় এরতি পারতিচনে !
একন খাঁজুরির গুড়ির মদ্যি চেনি,
দেশী কুহুড়োর মদ্যি ঢুইকে পইড়েচ সুনালি আর কয়লার।
সইরষের ত্যালে দেচ্চে তিল আর মইষনের ভ্যাজাল।
আর হাঁসের যে কত জাত ব্যারোইয়েচ তা কবো কারে!
আর যারা এই সব বেইচতেচ তারা হ্যাতো খাঁটি যে তাইগের কিচ্চু কবার যোঁ নেই!
শুনলিই কইয়ে দেচ্চে, বাড়ি বানাইনে গুড়,মনির মার পুষা হাঁস কুহুড়ো,
ত্যালও তাইগের বাড়ির ঘাইন ভাঙ্গানো!
তালি কবা কি কওদিন?
সেদিনকেরে হাটেরতে কই মাছ কিনলাম,
কইয়ালা বিটা কইয়ে দেলে দেশি কই,দামও নেলে হ্যাবারা ঘা দিয়ে।
ভাবলাম দেশী কই আর ফুল কফি মেলাদিন খাইনি,
আইজ এট্টু যুত এরে খাবানে।ওমা!
খাতি বইসে কই গালে দিয়ে দেহি,কইতি কোনো সাদ নেই,
কিরাম প্যচ প্যাচ কইরতেচ!
ওমনি নুরো কইয়ে ওঠলে,
এ তো দেশি কই না,এ ঠিক পোল্টি কই!
শুইনে তো আমার গালে হ্যাবারা মাছি,
হ্যাতো টাহা দিয়ে কই কিনলাম তাও পোল্টি কই!
হ্যাতো দিন জানতাম শুদু পোল্টি কুহুড়ো হয় একন তো দেকতিচ মাছের মদ্যিউ পোল্টি ঢুইকে পইড়েচ।মানসির মদ্যিউ পোল্টি ঢুইকেচ ক্যামন তা খিডা জানে!তয় হিডা কিন্তুক সত্তি কতা,
হ্যাতো দিন পোল্টি কুহুড়ো না বাইরোলি গোচতোর সাদ হ্যাবারা ভুইলেই যাতি হইতো।
টাহা তাহলিউ গোরু,খাঁশির ঠ্যাঙও জুইটতোনা, গোচতো তো দুরির কতা।
তাই ওই পোল্টি কুহুড়ো যে বিটা বানাইয়েচ তারে ধইন্যবাদ দিচ্চি।
ওই বিটার জন্যিই একন মানুষ পোল্টির মদ্যি গোচতোর সাদ পাচ্চে।
হেদিরি শুনতিচ কোন দেশে নাকি পিলাসটিকির চাইল পাওয়া যাচ্চে,
আবার কোন কোন দেশের হাঁস কুহুড়োই নাকি,একাল পিলাসটিকির ডিমও পাইড়তেচ!
সেই চাইল ডিম আমরাও খাচ্চি কি না তাও তো কতি পারতিছনে।
একন ছাবাল মাইয়ে হলিই দ্যাহো খাতি দেচ্চে কইটোর দুধ,
তারির মদ্যিউ যে কি রইয়েচ তাও তো বুঝা দায়।
এরির জন্যিই কি একনকের ছাবাল মাইয়েগের মদ্যির তে মায়া মহব্বত কুইমে যাচ্চে!!
””'””””””””””২৮ ডিসেম্বর ২০২০ খ্রি.
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.