সাইফ উদ্দীন আল-আজাদ,কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি (সুগারমিলের সাবেক কর্মকর্তা) মোহাম্মদপুর এলাকার গামার নাতি হাসিব হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ শারমিন জাহান যুথির বিরুদ্ধে সদর উপজেলার সাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনায় চাকরী দেওয়ার কথা বলে ১৫ লক্ষ্য টাকা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ১০/০৮/২০২২ইংঃ তারিখে সদর উপজেলার জগতি মোহাম্মদপুর এলাকার মোঃ শাকিল হোসেন(২৬), মোছাঃ রজনী খাতুন(২৫),মোছাঃ জেসমিন আরা(২২) ও মিরপুর থানার কলাবাড়িয়া এলাকার মোছাঃ শামসুন্নাহার লাকী(৩৫),মোছাঃ আলেয়া খাতুন(২৭) সহ ৫ থেকে ৭ জনের কাছ থেকে জন প্রতি ২,৫০,০০০ (দুই লক্ষ পঁঞ্চাশ হাজার) করে ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মোছাঃ শারমিন জাহান যুথি।বিগত ৮মাস যাবৎ টাকা নিয়ে ঘুরিয়েই যাচ্ছে স্বামী মোঃ হাসিব হোসেন ও তার পিতা মোঃ সাইফুল ইসলাম কে সাথে নিয়ে পুত্রবধু শারমিন জাহান যুথি,চাকরি দেওয়ার নামে নিজ শশুর বাড়ি এলাকায় মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ঠকিয়ে যাচ্ছে এলাকাবাসীকে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনার এমটিইপিআই সেলিনা আক্তার বলেন, আমাদের উপজেলার একটি প্রোগ্রামে ছবি তুলাতুলি পর্বে হঠাৎ এই শারমিন জাহান যুথি নামক একটি মেয়ে কোথা থেকে এসে অনুরোধ করে আমার সাথে একটি (সেলফি) ছবি তুলে,আমি এই মেয়েটিকে চিনিনা,শুধু এইটুকো মনে আছে মেয়েটা আমাকে সেই প্রোগ্রামে রিকুয়েষ্ট করলো ছবি তোলার জন্য,তাই তার রিকুয়েষ্ট টা রেখেছিলাম মাত্র। এদিকে সাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের (সরকারি কর্মকর্তা) এমটিইপিআই সেলিনা আক্তারের সাথে শারমিন জাহান যুথি সেলফি তুলে নিয়ে, নিজ শশুর বাড়ি এলাকা জগতি মোহাম্মদপুরে গিয়ে,গ্রামের সহজ সরল প্রতিবেশীদেরকে ছবি দেখিয়ে বলেন,এই দেখেন আমার সাথে সদর উপজেলার সাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সরকারি কর্মকর্তার ছবি,আমি এখানেই চাকরী করি, আপনারাও আমার মাধ্যমে চাকরী পেতে পারেন।এলাকার পুত্রবধুর এমন বক্তব্য ও ছবি দেখে বিশ্বাসের জায়গা তৈরি হয়ে যায় সহজ সরল গ্রাম্য মানুষগুলোর মনের মধ্যে। কেও গরু বিক্রয়ের টাকা,কেও লোনের মাধ্যমে টাকা,আবার কেও জমি বিক্রয় করে টাকা জোগার করে একেকজন দুই লক্ষ্য পঁঞ্চাশ হাজার করে টাকা দিলেন।এভাবে মোট ১৫ লক্ষ্য টাকা নিয়ে শশুর বাড়ি এলাকা ছারলেন প্রতারক পুত্রবধু যুথি।পাওনাদার ভুক্তভোগীরা বলেন এতদিন যাবৎ আমরা জানতাম যে,যুথি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনায় চাকরি করে,কিন্তু এখন আমরা জানতে পারি যে,সে চাকরি করেনা,এবং প্রতিনিয়ত আমাদের সাথে মিথ্যা কথা বলে,আর আমরা টাকা পয়সা চাইতে গেলে আমাদেরকে ঘুরাচ্ছে এবং হুমকি ধামকি দিয়ে কথা বলছে। এছাড়াও আমাদের এলাকার মেম্বার শাহ আলমের কাছে বিচার নিয়ে গেলে,দুই পক্ষের বসাবসিতে মেম্বার শাহ আলম বলেন যুথির থেকে টাকা তুলে দিবে,এমনকি বিচারের মধ্যে যুথি ও সময় নিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন,অথচ যুথি আমাদের টাকা ফেরত দিচ্ছেইনা।এদিকে মেম্বার শাহ আলম বিচার করার নামে যুথির থেকে ঘুষ নিয়ে এখন পুরো বিষয়টা আমাদের থেকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এরিয়ে চলছে। এবিষয়ে মিরপুর থানায় অফিসার ইনচার্জ বরাবর গত ১১/০৩/২০২৩ইং তারিখে ৪০২|- আমরা ভুক্তভোগী পাওনাদাররা যুথির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি, অথচ এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার ভূমিকা না থাকায় আমরা আমাদের কষ্টার্জিত টাকা ফেরত পেলামনা।
You must be logged in to post a comment.