আজ ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

কুষ্টিয়া পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ড ও নিয়োগ বাণিজ্যের শিকার অসংখ্য মহিলাগণ

এইচ.এম.সাইফ উদ্দীন আল-আজাদ|

কুষ্টিয়া জেলা পরিবার পরিকল্পনা (ফ্যামিলি প্লান) অধিদপ্তরে বিএনপি-জামাত পন্থী কর্মকর্তা দ্বারা পরিচালনা চলছে। সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে জামাত কর্মী মহিলাদের চাকরীতে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।গত ২৩নভেম্বর রোজ বুধবার কুষ্টিয়া পরিবার পরিকল্পনা (ফ্যামিলি প্লান) অধিদপ্তর কর্তৃক দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন ইউনিটে পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগে আবেদনকৃত মহিলাদের ভাইভা বোর্ডে ইন্টারভিউ হয়।অতঃপর ৩০নভেম্বর রোজ বুধবার ইন্টারভিউ এর ফলাফল প্রকাশ হয়।এতে ৫জন মহিলা উত্তির্ন হয়।১/ কান্দিলপাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেম এর কন্যা মোছাঃ কাকলী খাতুন ২/ইনসাফনগর এলাকার স্বামী আরিফুলের স্ত্রী আইরিন আখি ৩/লোকনাথপুর এলাকার স্বামী রনির স্ত্রী লাবনী আক্তার ৪/ভাগজোত এলাকার শহিদুল ডাক্তার কন্যা সুমাইয়া আফরোজ ৫/কাজিহাটা এলাকার পিতা আতিয়ার রহমাম কন্যা ও গাছেরদাইড় এলাকার পুত্রবধূ ও ভোটার মোছাঃ শান্তনা।পরবর্তী সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এই তালিকাভুক্ত ৫জন মেয়েদের মধ্য থেকে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ভাগজোত, কান্দিলপাড়া,ইনসাফনগর,লোকনাথপুর এই ৪টি এলাকা লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হয়,এবং এই ৪টি এলাকার মধ্য থেকে ১জনকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অথচ যেখানে নিয়ম অনুযায়ী ফলাফলে উত্তির্ন হওয়া ৫জনের মধ্যে লিপিবদ্ধ কান্দিলপাড়া,ভাগজোত,লোকনাথপুর ও ইনসাফনগর এই চার এলাকার মধ্যে মিলে গেলে তালিকার প্রথম থেকে নিয়োগ হওয়ার কথা,সেই অনুযায়ী নিয়োগ হবে ১নম্বর উত্তির্ন হওয়া মহিলা কান্দিলপাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেম এর কন্যা মোছাঃ কাকলী খাতুন।অথচ কান্দিলপাড়া এলাকার কাকলী খাতুন অসহায় গরীব ফ্যামিলির মেয়ে হওয়ার কারণে ঘুষ দিতে না পারাতে নিয়োগ পেলোনা।
নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ পেয়ে এখন পর্যন্ত বহাল রয়েছে তালিকার সর্বশেষ ৫নম্বরের উত্তির্ন হওয়া মহিলা যিনি সরকার অনুমোদিত নিয়োগ এরিয়া ভাগজোতপুর, কান্দিলপাড়া, ইনসাফনগর,লোকনাথপুরের বাহিরে কাজিহাটা এলাকার আতিয়ার রহমান কন্যা ও গাছেরদাইড় এলাকার ভোটার জামাত কর্মী মেছাঃ শান্তনা। জানা যায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে ঘুষের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের কলম উল্টো চলে বিভিন্ন কাগজপত্র সঠিক বানিয়ে ফেলা হচ্ছে।জামাত কর্মী শান্তনা মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে এখন পর্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে কাজ করে যাচ্ছেন,এরপরেও এখন পর্যন্ত কোন কর্মকর্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এ বিষয়ে ভাইভা বোর্ডে ১নম্বর উত্তীর্ণ হওয়া অসহায় কাকলী খাতুন ছুটে বেড়াচ্ছে এক অধিদপ্তর থেকে অপর অধিদপ্তর।এক পর্যায়ে সর্বশান্ত হয়ে কাকলী খাতুন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে সরাসরি ডিসি সাইদুল ইসলাম এর কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন,ডিসি সাইদুল ইসলাম কাকলী খাতুনকে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে আবার যেতে বলেন।কাকলীর অভিযোগ অনুযায়ী পরিবর্তীতে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের তদন্ত সুপার ভাইজার আতিয়ারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন সর্বশেষ ৫নম্বর তালিকার চাকরীতে বহাল জামাত কর্মী শান্তনার আসল ঠিকানা সরকারি লিপিবদ্ধ এরিয়ার বাহিরে কিনা জানার জন্য। অতঃপর তদন্ত শেষে আতিয়ার সঠিক রিপোর্ট জমা দেন যে,কাকলীর দেওয়া অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্য। এমন রিপোর্ট পাওয়ার পরেও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের দাদাবাবুরা কোন পদক্ষেপ না নিয়ে কাকলীকে সমানে ঘুরিয়েই যাচ্ছে এবং জামাত কর্মী শান্তনার থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাকে বহাল রেখেছে চাকরীতে।এবিষয়ে উপজেলা ফ্যামিলি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে সাংবাদিকরা কথা বললে তিনি একেকদিন একেকটি মিটিং এ আছেন বলে অজুহাত পেশ করেন, এমনকি জেলার সাংবাদিকরা সাক্ষাৎকার নিতে গেলে তিনি অফিসে উপস্থিত থাকলেও পিয়নদের মাধ্যমে খবর পাঠান স্যার অফিসে নেই। এরপরে সাংবাদিকরা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার লক্ষ্যে উপপরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম কে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে তাকে এবিষয়ে জিঙ্গাসা করলে তিনি বলেন আপনারা আগেই নিউজে যেয়েননা আমরা এটার সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো,এরপর য়কেকদিন পরে আবার সরাসরি তার অফিস কক্ষে গিয়ে তাকে না পেয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এখন ব্যস্থা আছি একটি মিটিং এ পরে কথা হবে, এরপরে আর ফোন ধরেননি। এভাবেই চলছে সাংবাদিক এবং পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে উত্তীর্ণ হওয়া ১নম্বর তালিকায় থাকা অসহায় গরীব মোছাঃকালকী খাতুন এর সাথে লুকোচুরি খেলা এবং কথা ঘুরিয়ে দিনপার করা।পরবর্তীতে অসহায় কাকলী খাতুন সাংবাদিকদের ডেকে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আমি একজন নারী হয়েও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের জামাতপন্থী কর্মকর্তাদের দ্বারা এভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছি,এর কোন প্রতিকার কি আমি পাবোনা, গরীব হওয়ায় কি আমার সবচেয়ে বড় অপরাধ, তাহলে চাকরীর পদের জন্য পরীক্ষা নিয়ে এইরকম নাটক করার কি দরকার ছিলো,যেখানে আমি ভাইভা বোর্ডের ফলাফলে সর্বপ্রথম হলাম। সেখান আজ আমি ঘুষ দিতে না পারায় আমার চাকরী হলোনা। সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে এরিয়ার বাহিরে থেকে নিয়ম লঙ্ঘন করে সরকার বিরোধীভাবে জামাত কন্যা শান্তনা টাকার জোরে চাকরী পেয়ে গেলো। আর আমাদের শিক্ষার কোন মূল্য নেই। তবুও আমি শেষ আশাবাদী হয়ে মাননীয় জেলা প্রশাসকের নিকট আকুল আবেদন জানাবো আমার বিষয়টি ভালোভাবে বিবেচনা করে আমাকে আমার ন্যায্য অধিকার পরিবার কল্যাণ সহকারী পদের চাকুরীটা দিয়ে সহযোগিতা করবেন।

Leave a Reply

     এই বিভাগের আরও খবর