বেনাপোল প্রতিনিধি : বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদারের প্রত্যাহারসহ ৩ দফা দাবিতে আগামীকাল বুধবার (৮ জুন) থেকে বেনাপোল স্থলবন্দরে লাগাতার কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি।
এসময় দেশের বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলের ৭টি বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠন তাদের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করেছে। মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির নিজস্ব ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এ কর্ম বিরতি ঘোষণা করেন, ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জি এম আজিম উদ্দীন গাজী। এসময় সংগঠনের সভাপতি আতিকুজ্জামান সনিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
৩ দফা দাবি সমূহ হলো, ১. বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদারকে প্রত্যাহার করা, ২. বেনাপোল স্থল বন্দরের পর্যাপ্ত ক্রেণ, ফর্কলিফট সরবরাহসহ দক্ষ চালক নিয়োগ দেয়া, ৩. বন্দরে পর্যাপ্ত শেড ও জায়গা বৃদ্ধি করত ঃ বন্দর এলাকায় যানজট মুক্ত রাখা।
এ সময় জি এম আজিম উদ্দিন গাজী বলেন, বাংলাদেশের সর্ব বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল। যে বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকেন। কিন্তু বন্দরে পর্যাপ্ত ক্রেণ ও ফর্কলিফট না থাকার কারনে পণ্য লোড-আনলোডের ক্ষেত্রে চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। যার ফলে গত ১৬ মের মধ্যে বন্দরে পর্যাপ্ত সরজ্ঞামের ব্যবস্থা না করা হলে, ১৭ মে থেকে বন্দরে পণ্য পরিবহন করা হতে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
তার প্রেক্ষিতে বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ পরিচালক মামুন কবীর তরফদারের সভাপতিত্বে ক্রেণ ফর্কলিফটের সমস্যা নিরসনে স্থানীয় বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার মাধ্যমে গত ৩১ মে এর মধ্যে বন্দরে ৩ টি নতুন ক্রেন ও ৩টি নতুন ফর্কলিফটের সরবারহসহ দক্ষ চালক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু অদ্যবধি বন্দরে কোন প্রত্যাশিত কোন ক্রেণ ফর্কলিফট সরবারহ করা হয়নি। তার পরেও দফায় দফায় বন্দর কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেও কোন ফলপ্রশু সমাধান হয়নি।
এসব দাবিসমূহ আদায়ের লক্ষে আগামীকাল বুধবার (বুধবার) থেকে বেনাপোল স্থল বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ আলোচনার মাধ্যমে আমদানি-রফতানিসহ সকল প্রকার পণ্য পরিবহন করা থেকে কর্মবিরতি পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মামুন কবীর তরফদার বন্দরের টেন্ডারসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে তার নিজস্ব লোক কিংবা আত্মীয় স্বজনদের নিয়োগ দিচ্ছেন। তিনি বেনাপোল বন্দরটাকে ধ্বংসের জন্য পায়তারা করছেন। তাকে এ বন্দর থেকে প্রত্যাহার করলে বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল হওয়াসহ রাজস্ব আদায় আরও বেশি বাড়বে। মামুন কবীর তরফদারের কারণে আজ বেনাপোল বন্দর ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এমন কোন দূর্ণীতি নেই যে, যেখানে মামুন তরফদার জড়িত নয়। সব কাজে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মবিরতি লাগাতার চালিয়ে যাবো। বন্দর ব্যবহারকারী সব সংগঠনই আমাদের সাথে আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ৩ দফা দাবি আদায় না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কর্ম বিরতি চলবে।
You must be logged in to post a comment.