স্টাফ রিপোর্টার: দেবহাটায় সরকারিভাবে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় পারুলিয়া খাদ্য গুদামে আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষকদের কাছ থেকে এসব ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রব লিটু, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওন, উপজেলা কৃষি অফিসার শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর, খাদ্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন, পারুলিয়া খাদ্য গুদামের ইনচার্জ (ওসিএলএসডি) বিল্লাল হোসেন প্রমূখ। এছাড়াও পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম, কৃষক লীগের আহবায়ক নির্মল কুমার মন্ডল, সদস্য সচিব হুমায়ূন কবির হীম, মিল মালিক সমিতির সভাপতি আলতাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান মায়েন, মিল মালিক আব্দুল আলিম মিঠুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নের্তৃবৃন্দ ও উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের কার্ডধারী কৃষকেরা উপস্থিত ছিলেন। এবছর সরকারিভাবে ২৭ টাকা কেজি দরে ৭৬৭ মেট্রিক টন ধান ও ৪০ টাকা কেজি দরে ৫৮১ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হবে।
স্টাফ রিপোর্টার: দেবহাটার দেবীশহর এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফিস ফারর্মিং কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’র ৬৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সংগঠনটির সভাকক্ষে সকল নের্তৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেবীশহর এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফিস ফারমিং কো-অপারেটিভ সোসাইটির সভাপতি শরৎ চন্দ্র ঘোষ, সহ-সভাপতি উত্তর কুমার ধাড়া, সাধারণ সম্পাদক সুভাষ ঘোষ, পরিচালক ধীরেন সরকার, লক্ষন বাগ, জয়ন্ত অধিকারী, রবিন চ্যাটার্জী, গোলাম মোস্তফা, হারুন-অর-রশিদ সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। সভায় আয়-ব্যায়ের পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : সুজলা-সুফলা শস্য – শ্যামলা বাংলাদেশ অনুপম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলা-নীকেতন। এদেশের ছয়টি ঋতু প্রাকৃতিক নিয়মে আপনাপন বিচিত্র রূপ আর বৈশিষ্ট্য নিয়ে আবির্ভূত হয়। এদের আবির্ভাবে বাংলাদেশ অপরূপ প্রাকৃতিক নীলা- বৈচিত্র্যে মেতে, নৈসর্গিক দৃশ্যের পট পরবর্তিত হয়। এদেশের ঋতুবৈচিত্র্য যুগে যুগে কবিদের আবেগ ও সৌন্দর্য চেতনাকে আন্দোলিত করেছে। তাঁরা তাঁদের লেখনীর নিপুন আঁচড়ে এঁকেছেন রূপসী বাংলার সৌন্দর্য ও ঐশ্বর্যে ঋলমল এক প্রাণবন্ত ছবি।
গ্রামবাংলার বুকে প্রথম ঋতু গ্রীষ্ম আবির্ভূত হয় প্রখর সূর্যকিরণের দাবদাহ নিয়ে। গ্রীষ্মের প্রকৃত মূর্তি শুষ্ক, কঠোর ও রুক্ষ। কাঠফাটা রোদে চারদিক ঝাঁ ঝাঁ করে। মাঠ- ঘাট ফেটে চৌচির। সূর্যের প্রখর তাপে সব যেন ঝলসে যায়। এ ঋতুতেই বাংলার রকমারি রসাল ফল ঝুলতে থাকে গাছের শাখায় শাখায়। আম, জাম, লিচু ও কাঁঠালের প্রাচুর্যে ভরে যায় গ্রামবাংলার আনাচ- কানাচ।
সাধারণত প্রচন্ড গরম আর কাঠফাটা রোদের জন্য গ্রীম্ষ ঋতুর খ্যাতি থাকলেও দৃষ্টিনন্দন ফুলে ফুলে প্রকৃতি সাজতেও গ্রীম্ষ ঋতুর জুড়ি নেই। প্রকৃতিতে এখন গ্রীম্ষ। তবুও চারদিকে দৃষ্টিনন্দন ফুলের জন্য গ্রীম্ষেই যেন স্বর্গীয় রুপ দিয়েছে বাংলাদেশের প্রকৃতিতে।
গ্রীষ্মের প্রকৃতিতে অপরূপ সাজে সেজেছে হলুদ সোনালু বা বাঁদরলাঠি ফুল। সোনালী রংঙের বাহার থেকেই ‘সোনালু’ নামে নামকরণ। সোনালু আমাদের দেশের গ্রীষ্মের অতিপরিচিত দৃষ্টিনন্দন ৫পাপঁড়ির থোকাযুক্ত হলুদ রঙের ফুল ও মাঝে পরাগ দ-অবস্থিত। সোনালু ফুলের আদি নিবাস হিমালয় অঞ্চল ধরা হলেও বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমার অঞ্চলজুড়ে রয়েছে এর বিস্তৃতি।
সোনালু ঝরনার বৃক্ষ। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর নাম দিয়েছিলেন অমলতাস। শীতে সমস্ত পাতা ঝড়ে গিয়ে গাছ থাকে পত্র শুন্য ও বসন্তের শেষে ফুল কলি ধরার পূর্বে গাছে নতুন পাতা গজায়। গ্রীষ্মে গাছের শাখা -প্রশাখা জুড়ে ঝুলন্ত মঞ্জুরিতে সোনালী হলুদ রংঙের ফুল ফোটে ও এর ব্যাপ্তি থাকে গ্রীষ্মকাল পুরো সময় জুড়ে।
গ্রীম্ষকালে যখন সবগাছে ফুল ফোটে তখন মনে হয় সোনালী আলোকচ্ছাটায় চারপাশ আলোকিত হয়েছে। বন-জঙ্গলে, বাড়ির আনাচে-কানাচে বা গ্রামীণ বাস্তার ধারে প্রাকৃতিকভাবে জম্মগ্রহন করে এবং অযন্ত ও অহহেলায় বেড়ে ওঠে। গাছের শাখা প্রশাখা কম ও কান্ড সোজাভাবে উপরের দিকে বাড়তে থাকে।
বাকল সবুজাভ থেকে ধূসর রঙের হয়ে থাকে এবং কাঠ মাঝারি শক্ত মানের হয়ে। গ্রামগঞ্জে এই কাঠ নৌকা তৈরির কাজে ব্যাপক ব্যবহার করা হয়।
সোনালুগাছ সাধারণত ১৫ থেকে ২০ মিটার পযর্ন্ত উঁচু হয়ে থাকে ও উঁচু থেকে মাঝারি উঁচু ভূমি সোনালু গাছ উৎপাদনের জন্য উপযোগী স্থান। ফুল থেকে ফল ও বীজ হয়। এই বাঁদরলাঠির ভিতরে অনেক বীজ থাকে ও বীজ থেকে চারা জম্মায়। ফলের আকার দেখতে অনেকটা সজিনা আকৃতির মতো। সজিনার গায়ের চামড়াতে ঢেওতোলা আর সোনালু ফলে তা নেই চামড়া মসৃণ। ফল লম্বায় প্রায় ১ফুট। রং প্রথমে সবুজ ও পরিপক্ব হলে কালচে খয়েরি রং ধারণ করে। দেশের সবত্র রয়েছে সোনালু গাছ।
এ গাছের পাতার, ফল ও বাকলের রয়েছে ঔষধি গুণাগুণ। গবাদিপশুর চিকিৎসায় এর ফল ব্যবহার করা হয়। এটি ডাইরিয়া ও বহুমূত্র রোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।
সোনালু ফল ও ফুল সবই বানরের খুব প্রিয় খাবার। এজন্য কোন কোন অঞ্চলে সোনালুর ফলকে বাঁদরলাঠিও বলা হয়। কুড়িগ্রামের বিভিন্ন স্থানে গ্রীম্ষের দক্ষিণা হাওয়ায় সোনা ঝড়া সোনালু ফুল যেন প্রকৃতির কানে দুলছে দুল। প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজিয়ে তুলেছে সোনালু বা বাঁদরলাঠি ফুল।
:: জি এম মোস্তফা কামাল :: মধু কি ? উত্তরে :-সাধারণভাবে বলা যায়- মধু হলো লাখ লাখ মৌমাছির অক্লান্ত শ্রম আর সেবাব্রতী জীবনের দান। মৌমাছিরা ফুলে ফুলে বিচরণ করে ফুলের রেণু ও মিষ্টি রস সংগ্রহ করে পাকস্থলীতে রাখে।
তারপর সেখানে মৌমাছির মুখ নিঃসৃত লালা মিশ্রিত হয়ে রাসায়নিক জটিল বিক্রিয়ায় মধু তৈরি হয়। এরপর মুখ হতে মৌচাকের প্রকোষ্ঠে জমা করা হয়। আসসালামু আলাইকুম।আশা করি সবাই ভাল আছেন।—————————–আমি- জি, এম, মোস্তফা কামাল। কাজ করছি – মীম পিওর হানি – এর পন্য খাঁটি মধু নিয়ে। বিশেষ করে মধু ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে মধু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হবে। MIM PURE HONEY– এর কি কি মধু আমরা পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করে থাকি। ১/ সরিষা ফুলের খাঁটি মধু। ৩৭৫|=৳🐝
২/ ধনিয়া ফুলের খাঁটি মধু। ৩৮৫|=৳🐝
৩/ কালোজিরা ফুলের খাঁটি মধু। ৭৫০ |=
৪/লিচু ফুলের খাঁটি মধু। ৩৬৫|=৳🐝
৫/ সুন্দরবনের খলিশা ফুলের খাঁটি মধু। ৭৫০ |=৳🐝🇧🇩🐝🐝আমার সন্মানিত গ্রাহকদের নিকট সুরুচি-সম্পন্ন🐝MIM PURE HONEY🐝 – এর পন্য,ফুড গ্রেড অনুযায়ী 🐝 স্বল্প মুল্যে,🐝 পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করে থাকি। আমরা বাংলাদেশের সমগ্র জেলা-উপজেলায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ১০০% খাঁটি মধু পৌঁছে দিয়ে থাকি।আসুন মধু সম্পর্কে অল্প কিছু তথ্য জেনে নেই।—-🐝(MPH-মধু/SINCE-2005)🐝
খাঁটি মধুতে কি কি উপাদান :-আমরা সবাই জানি। মধু পুষ্টিকর খাবার। কতটা পুষ্টিকর? পরিমাণটা অল্প কথায় বলা যাবে না। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বলছেন, সকল পানীয়ের মধ্যে মধু সর্বোৎকৃষ্ট। পবিত্র কোরাণ শরীফের ”সুরা নাহল” এ মধুর অসাধারণ ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যায়। মধুতে রয়েছে ভিটামিন (থিয়ামিন,নিয়াাসিন,প্যানটোথেনিক এসিড,আয়রণ,রিবোফ্লেভিন,ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,সোডিয়াম,জিঙ্ক, পটাসিয়াম,ইত্যাদি)প্রায় ১৮ ধরনের এ্যামিনো এসিড এবং এন্টিঅক্সিডেন্টস্,(পিনোসেমব্রিন,ফেনল’স,ফ্লাভোনয়ডাস অন্যতম) এমনকি মধুর রয়েছে এমন এক ধরণের এন্টিমাইক্রোবাইয়াল এজেন্ট যা পচনরোধ করে। নিয়মিত মধু খেলে এ্যাজমা, এলার্জি, আলসার,ক্ষত /ঘা ইত্যাদি থেকে দূরে থাকা যায়। লেবুর পানির সাথে মধু মিশিয়ে শরবত বানিয়ে নিয়মিত খেলে শরীর চাঙ্গা থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, শরীরের বাড়তি মেদ কমায় এবং ত্বক থাকে সজীব। বিখ্যাত মুসলিম চিকিৎসক এবং দার্শনিক ইবনে সিনা তাঁর কানোন গ্রন্থে মধু দিয়ে অসংখ্য রোগের ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন।
বিঃদ্রঃ- পাইকারি ও খুচরা খাঁটি মধু ক্রয়ের জন্য ইনবক্স করুন অথবা ফোন করুন।
:: জি এম মোস্তফা কামাল :: সাধারণভাবে বলা যায়- মধু হলো লাখ লাখ মৌমাছির অক্লান্ত শ্রম আর সেবাব্রতী জীবনের দান।
মৌমাছিরা ফুলে ফুলে বিচরণ করে ফুলের রেণু ও মিষ্টি রস সংগ্রহ করে পাকস্থলীতে রাখে। তারপর সেখানে মৌমাছির মুখ নিঃসৃত লালা মিশ্রিত হয়ে রাসায়নিক জটিল বিক্রিয়ায় মধু তৈরি হয়। এরপর মুখ হতে মৌচাকের প্রকোষ্ঠে জমা করা হয়।
বিঃদ্রঃ- পাইকারি ও খুচরা মধু ক্রয়ের জন্য আজই যোগাযোগ করুন। মীম পিওর হানি MIM PURE HONEY SINCE-2005 Gm Mostafa Kamal 01911 638502
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল। পাটকে বাংলাদেশের সোনালী আশঁও বলা হয়। এই সোনালী আশঁ দেশে ও বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশীক মুদ্রা উপার্জন করে বাংলাদেশ।
জ্বালানি হিসাবে পাট খড়ির প্রয়োজনীয়তা বা কদর সারাদেশে প্রচুর রয়েছে। সাধারণত গ্রামে চুলা ধরানোর প্রধান উপকরণ হচ্ছে এই পাট কাঠি। পাট খড়ি পাট চাষের জন্য আর একটি গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ। পাট আশেঁর দ্বিগুণ পরিমাণ খড়ি উৎপাদিত হয়। ঘরের ছাউনি, বেড়া এবং জ্বালানি হিসাবে পাট খড়ির ব্যবহার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রায় ২০-৩০ বছর আগে বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জে প্রায় বাড়িতে ছনের ছাউনির ঘর ছিল। এই ঘরের বেড়া বাশঁ, পাট কাঠি আর কাশ দিয়ে দেওয়া হতো।
কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলে এখন গ্রামগঞ্জেও প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে টিনের ঘর বা দালান ঘর এসব কারণে এখন আর তেমনটা পাট কাঠি দিয়ে বেড়া দেওয়ার রেওয়াজ নেই বললেই চলে।
তারপরও পাট কাঠির কদরে ভাটা পড়েনি এখনো। ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের নওদাবস গ্রামের বাসিন্দা নরেন চন্দ্র রায় বলেন, এখনো গ্রামে দেখা যায় বাশঁ, কাশ ও পাট কাঠির দৃষ্টিনন্দন বেড়া এবং চেকার। এর বেড়া বা চেকার খুবই সুন্দর ও মজবুত হয়।
কিন্তু এর একটা অসুবিধাও রয়েছে। কাশের বা পাট কাটির বেড়ার চেকারে উইপোকা বেশি ধরে ও বছর বছর বদলাতে হয় একারণেই এর ব্যবহার দিন দিন কমে কমে যাচ্ছে।
মোঃ রেজাউল করিম রেজা রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় তিস্তা নদীর দুই তীরে ভাঙ্গন রোধে বিজ্ঞানসম্মতভাবে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে নদী পাড়ের মানুষজন মানববন্ধন করেছে। ৩১মার্চ/২২, রোজ-বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ঘটিকায় রাজারহাট সোনালী ব্যাংক চত্বরে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন তিস্তা পাড়ের শত শত মানুষ। এতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ও রাজারহাটের সাংবাদিকবৃন্দ সংহতি প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশ নেন। উক্ত মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দ্দী বাপ্পি, ভাইস চেয়ারম্যান আশিকুল ইসলাম মন্ডল সাবু, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিক, রাজারহাট সরকারী এম.আই কলেজের উপাধ্যক্ষ সাজেদুর রহমান মন্ডল(চাঁদ), প্রেসক্লাব রাজারহাটের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ রাজারহাট উপজেলা শাখার আহবায়ক মোঃ সাজু সরকার, জাপা নেতা সাদ্দাম হোসেন, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের স্টান্ডিং কমিটির সদস্য ও রাজারহাট মডেল প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, বখতিয়ার হোসেন শিশির, হাফেজ মোঃ জাহেরুল ইসলাম, ডাঃ রফিকুল ইসলাম, প্রাক্তন ইউপি সদস্য আজিজার রহমান ও মৌলভী মোঃ আঃ সালাম প্রমূখ। সমাবেশে বক্তারা তাদের ৬ দফা দাবী তুলে ধরেন। দাবীগুলো- তিস্তা নদী সুরক্ষায় বিজ্ঞান সম্মতভাবে তিস্তা পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন। তিস্তা নদীতে সারা বছর পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মাণ। তিস্তা নদীর শাখা-প্রশাখা ও উপশাখাগুলোর সঙ্গে নদীর পূর্বেকার সংযোগ স্থাপন ও নৌ-চলাচল পুনরায় চালু করা। ভূমি দস্যুদের হাত থেকে অবৈধভাবে দখলকৃত তিস্তার শাখা-প্রশাখা ও উপশাখা নদী দখলমুক্ত করা। নদীর বুকে ও ধারে গড়ে উঠা সমস্ত অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন। তিস্তার ভাঙ্গনে বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ। নদীর ভাঙ্গণে বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ। নদী ভাঙ্গনে সর্বস্বহারা ভূমিহীন, গৃহহীন, মাঝি-মাল্লা ও মৎস্য জিবিসহ সকল পেশার উদ্বাস্তু মানুষের পূণর্বাসন। তিস্তা মহাপরিকল্পনায় কৃষি ও কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় অগ্রাধিকার প্রদান, কৃষি সমবায় এবং কৃষি ভিত্তিক কলকারখানা গড়ে তোলা। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ এবং প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তিস্তা পাড়ের মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
ফুল-ফল এবং মৌমাছির রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। যেন একে অপরের সহযোগী। মৌমাছি পুষ্পিত ফুল থেকে মধু আহরণ করে,ফলে পরাগায়নের মাধ্যমে গাছ ফুলে ফলে আরও বিকশিত হয়।গাছ ফুল ও ফলের মতো মৌমাছি ও প্রকৃতির অংশ।
প্রকৃতির এই দান আমরা ইচ্ছে করলে অবহেলায় ফেলেও দিতে পারি আবার সযত্নে সংরক্ষণও করতে পারি।আমরা তাহলে কি করবো? আমরা সকলেই আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চাই।আর এই পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন বাড়তি আয়ের।
গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ যারা এখনো শুধুমাত্র করে নির্ভরশীল,তাদের জন্য বেঁচে থাকার সংগ্রাম দিনে দিনে আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।সুতরাং বাড়তি আয়ের জন্য বিভিন্ন পথ আমাদের খুঁজে খুঁজে বের করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মৌ চাষের মাধ্যমে বাড়তি আয় নিশ্চিত হতে পারে। ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকলে আমরা অনপকেই নিজেদের বাড়িতে মৌ প্রকল্প গড়ে তুলতে পারি।কিন্তু প্রকল্প শুরু করতে গেলেই প্রথমে মাথায় আসে পুঁজির বিষয়টি।
অনেকের পক্ষে শুধুমাত্র পুঁজির অভাবের কারণে শেষ পযর্ন্ত কোন প্রকল্প গড়ে তোলা সম্ভব হয় না। অথচ মৌ-চাষের জন্য খুব বেশী পুঁজি বা জায়গার প্রয়োজন হয় না। আমাদের দেশের বিভিন্ন শষ্য ক্ষেতে, বাগান,বন-উপবনপ নানা ধরনের ফুল-ফল রয়েছে।বলা চলে প্রকৃতির এই দানই আমার প্রথম পুঁজি। মৌমাছি প্রকৃতির এই সকল উৎস থেকে মধু আহরণ করে আর আমরা তার সংরক্ষণ করব আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানোর জন্য।যাদের কোন পুঁজি বা জমিজমা নেই তাদের পক্ষেও সফলভাবে মৌ চাষ করা সম্ভব।আমাদের দেশের জনসংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। কিন্তু সে তুলনায় কাজের সুযোগ বাড়ছে না।
কর্মহীন এই বেকার মানুষ গুলি চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।অনেকের জন্যই দুবেলা দু-মুঠো খাবার জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এর সাথে যোগ হচ্ছে নানা ধরনের রোগ-বালাই।অধিকাংশ কম আয়ের মানুষ আজ মারাত্মক অপুষ্টির স্বীকার। বিনা চিকিৎসায় অনেকে অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন। এই প্রতিকূল অবস্থায় মৌচাষ খানিকটা হলেও আশার আলো জ্বালিয়ে রাখতে পারে। বাড়তি আয়ের কথাতো বলাই হলো,নিয়মিত মধু খেলে অপুষ্টি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
বৈজ্ঞানিক নানা গবেষনায় এর সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। মধুর মধ্যে রয়েছে নানা ভেষজ ও ঔষধি গুনাগুণ।বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ তৈরিতে মধু ব্যবহার করা হচ্ছে।অপুষ্টি রোধে ও চিকিৎসা ব্যয় কমাতে মধু আমাদের সাহায্য করতে পারে এবং তা আমাদের নিজেদের উৎপাদিত মধুতেই সম্ভব।
আমাদের দেশের মোট জনগোষ্ঠীর এক-তৃতীয়াংশ হলো যুবক।এই যুব সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ অংশ গ্রামে বসবাস করে।অথচ গ্রামে কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে যুবকেরা আজ দারুণভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। অনেকে কাজ বা চাকরির প্রত্যাশায় শহরে এসে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে মাদকাসক্ত, সন্ত্রাসসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।এই শহরমুখী প্রবণতা আমাদের দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করছে। বরং আমরা গ্রামেই তাদেরকে মৌচাষে সম্পৃক্ত করতে পারি। যুবকেরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৌ-খামার গড়ে তুলে আয়ের পথ সুগম করতে পারে। এর মাধ্যমে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে একদিকে যেমন হতাশা দূর হবে অন্যদিকে একটি শক্তিশালী জাতি গঠনে সহায়ক হবে।
আনান্দের কথা হলো ইতিমধ্যে অনেক যুবক মৌচাষে দারুন-ভাবে সাফল্য লাভ করেছে, তারা তাদের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করে আজ সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। শুধু শহরগুলিতে নয় বাংলাদেশের গ্রামগুলিতেও নানাভাবে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।পরিবেশ যদি না বাঁচে তাহলে মানুষ কিভাবে বাঁচবে? নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে,অধিক শস্য উৎপাদনের লোভে ফসলের জমিতে মারাত্মক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করা হোচ্ছে। ফলে জমির উবর্রতা শকৃতি দিন দিন কমে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় মৌচাষ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
মৌমাছি ও অন্যান্য উপকারী পতঙ্গ দ্বারা পরাগায়নের মাধ্যমে অধিক ফল ও ফসল উৎপাদন সম্ভব। বর্তমানে উৎপাদন বৃদ্ধিতে শস্যে বিভিন্ন হরমোন প্রয়োগ করা হচ্ছে। আমরা এও দেখেছি পটল ক্ষেতে হাতের মাধ্যমে ফুলে-ফুল সংস্পর্শ করে প্রয়োজনীয় পরাগায়নের প্রক্রিয়া ঘটানো হচ্ছে। নিশ্চিত-ভাবে বলা যায় এই প্রক্রিয়া অস্বাভাবিক এবং এতে করে চাষীদের অনেক শ্রম ও সময় নষ্ট হচ্ছে।
আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে মৌমাছির মতো উপকারী প্রাণির সংখ্যা বৃদ্ধি করা গেলে স্বাভাবিক পরাগায়ন বৃদ্ধি পাবে। বেশী বেশী মৌচাষ ফুল-ফল ও শস্যের স্বাভাবিক পরাগায়ণ বৃদ্ধি মাধ্যমে পরিবেশ ও জীবন রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। মৌচাষে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। মৌচাষে সাফল্য পেতে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষন প্রদান করা হচ্ছে।
প্রশিক্ষিত মৌচাষীদের অনেকেই এখন স্বাবলম্বী হয়েছে। আমরা মৌচাষে মানুষের এই সাফল্যকে ধরে রাখতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা-গুলির মাধ্যমে দেশ থেকে ক্ষুধা ও দারিদ্রের অবসান ঘটাতে সক্ষম হবে।
পাইকারী ও খুচরা খাঁটি মধু ক্রয়ের জন্য আজই যোগাযোগ করুন।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পাট অধিদপ্তর,রাজারহাট এর আয়োজনে ২৭ শে মার্চ সকাল ১০:৩০টায় আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী অডিটোরিয়াম, রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে পাটচাষী প্রশিক্ষণ -২০২২ উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের পাটচাষী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেন রাজারহাট উপজেলার কৃষক ও কৃষাণীগণ।